০১. মানুষের সাহায্য গ্রহণ করা থেকে বিরত হও, যদিও তা দাঁত মাজার জন্য একটা দাঁতনও হয়।

০২. মদপান, জুয়াখেলা ও কুবাহ (তবলা) বাজানো আল্লাহ্ হারাম করেছেন। তিনি আরও বলেছেন, প্রত্যেক নেশা উৎপাদনকারী দ্রব্যই হারাম।

০৩. তোমাদের মধ্যে যে কেউ শিশু সন্তানকে কেয়ামতের দিনের জন্য পাঠিয়ে দেবে (অর্থাৎ শৈশবাবস্থায় সন্তানের মৃত্যু হলে সে-মাতা ছবর ও ধৈর্যধারণ করবে) তার জন্য ঐ শিশুসন্তানগুলি দোযখের অগ্নি হতে ঢালস্বরূপ রক্ষা-কবচ হয়ে দাঁড়াবে।

০৪. আল্লাহ্ যার কল্যাণ করতে ইচ্ছা করেন তাকে বিপদাপদে জড়িত করেন।

০৫. আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সর্বাপেক্ষা উত্তম কার্য হল অনাহারী অসহায়কে অন্নদান বা তার দুঃখমোচন বা বিপদ দূর করা।

০৬. যে ব্যক্তি ছোটদের প্রতি স্নেহ, সৎকার্যের আদেশ, অসৎকার্য নিষেধ না করে, সে আমার উম্মত নয়।

০৭. আদম সন্তানকে চারটি বিষয়ে প্রশ্ন না করা পর্যন্ত কিয়ামতের দিন তার পা নড়বে না (১) তার জীবন সম্বন্ধে তা কিভাবে ব্যয় করেছে, (২) তার যৌবন সম্বন্ধে তা কিভাবে ব্যয় করেছে (৩) তার মাল সম্বন্ধে তা কিভাবে অর্জন করেছে ও কিভাবে ব্যয় করেছে, (৪) যে বিষয়ে তার জ্ঞান ছিল তা কিভাবে কাজে লাগিয়েছে।

০৮. দুনিয়া কষ্টের স্থান এবং আখেরাত সুখের স্থান। দুনিয়া মুমীনদের জন্য কারাগার স্বরূপ এবং কাফেরদের স্বর্গ।

০৯. তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম, যে দুনিয়ার জন্য আখেরাতকে পরিত্যাগ করে না এবং অন্যের গলগ্রহ হয় না।

১০. হযরত আবুবকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বললেন “আমি তোমাদের বড় বড় কবিরা গুনাহগুলি জ্ঞাত করাব কি?” এইভাবে (আমাদের মনোযোগ আকৃষ্ট করার জন্য) তিনবার প্রশ্ন করলেন। উপস্থিত সকলেই আরজ করল, ‘নিশ্চয় ইয়া রসুলুল্লাহ।!’ নবী (সাঃ) বললেন, “কার্যকলাপ বা কথাবার্তায় কোনো বিষয়ে (১) আল্লাহ তা’য়ালা তুল্য মর্যাদা কারও জন্য প্রকাশ করা (২) মাতা-পিতার অবাধ্য হয়ে চলা।”

এই পর্যন্ত তিনি হেলান দেওয়া অবস্থায় ছিলেন, অতঃপর তিনি বিশেষ তৎপরতা প্রদর্শনে উঠে বসলেন এবং বললেন, “স্মরণ রেখো (৩) মিথ্যা কথা বলা।” (হাদীস বর্ণনাকারী বলেন:) এই তৃতীয় বিষয়টি নবী (সাঃ) বার বার বলতে লাগলেন, এমন কি আমরা তার ক্ষান্ত হওয়ার জন্য আগ্রহ করতে লাগলাম (যেন তিনি ক্লান্ত হয়ে না পড়েন)

১১. তোমরা মিথ্যা থেকে দূরে থাক, কেননা মিথ্যা মানুষকে পাপে পূর্ণ করে দোযখে নিক্ষেপ করে।

১২. বিপদে সবর অবলম্বন করাও এবাদত।

১৩. নিশ্চয় আল্লাহ্ তায়ালা কিয়ামতের দিন বলবেন, যারা আমার মুহব্বতের খাতিরে পরস্পর বন্ধুত্ব স্থাপন করেছে, তাদের জ্যোতির্ময় মিম্বর প্রদান করা হবে। তাদের উচ্চ সম্মান দর্শন করে নবীগণ ও শহীদগণ আফসোস করতে থাকবে।

১৪. গীবত জেনা অপেক্ষাও মারাত্মক, কারণ তওবা করলে জেনার গুনাহ মাফ হতে পারে, কিন্তু যার গীবত করা হয়, সে মাফ না করলে আল্লাহ্ গীবতের গুনাহ্ মাফ করবেন না।

১৫. যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ও আখেরাতে বিশ্বাস করে, সে হয় শুধু সৎকথা বলবে আর না হয় নীরবে থাকবে।

১৬. আল্লাহ তিনটি জিনিস তোমাদের জন্য অপছন্দ করেন, বাহুল্য বাক্য, বাহুল্য ব্যয় ও ভিক্ষা করা।

১৭. হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, আমি হযরত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আমাকে নিদ্রাবস্থায় স্বপ্নে দেখবে অচিরেই সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখতে পারবে এবং শয়তান আমার আকৃতি অবলম্বন করতে পারে না।

১৮. যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ প্রেরণ করে, আল্লাহ্ তার উপর দশবার দরুদ প্রেরণ করেন এবং তার দশটি গুনাহ মাফ করে দেন এবং তার দশটি পদ-মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। ৭০ হাজার ফেরেস্তাও তার জন্য দোয়া করেন। যখন কেউ নবীজির (সাঃ) এর উপরে দরুদ ও সালাম প্রেরণ করেন তখন, আল্লাহ পাক পিতা-মাতার পরিচয়সহ ঐ দুরুদ ও সালাম নবীজি (সাঃ) নিকট প্রেরণ করেন।

১৯. একজন চোরকে হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর নিকট আনা হলে তিনি তার হাত কেটে দিতে বললেন। সকলে বলল, “আমরা ধারণা করি নাই যে, আপনি তাকে এই শাস্তি প্রদান করবেন।” তিনি বললেন, “যদি আমার কন্যা ফাতেমাও এই রকম অপরাধ করত, তবুও আমি তার হাত কেটে দিতাম।”

২০. প্রশ্ন করা হল, ‘কোন প্রকারের জীবিকা সর্বাপেক্ষা উত্তম?’ হযরত রাসূল (সাঃ) বললেন, মানুষ নিজ হাতে সদুপায়ে যা উপার্জন করে এবং সকল প্রকার হালাল ব্যবসায়।

২১. রাসুল (সঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কালেমার দাওয়াত মানুষের কাছে পৌঁছে দিবে, আমি তাহাকে সাথে করে জান্নাতে নিয়ে যাব।

২২. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা:) বর্ণনা করেছেন, কিয়ামতের দিন মো’মেনদের সঙ্গে আল্লাহ্ তায়ালার একটা বিশেষ গোপন আলাপ অনুষ্ঠান হবে। তার বিবরণ আমি হযরত নবী (সাঃ) এর নিকট শুনেছি….

২৩. আল্লাহ্র নিকট প্রার্থনা করা অপেক্ষা অধিক সম্মানজনক অন্য কোন কিছুই নাই।

২৪. হযরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, হযরত (সাঃ) এর অধিকাংশ সময় প্রার্থনা করতেন, হে আল্লাহ্! আমি চারটি বস্তু থেকে (অব্যাহতি) তোমার নিকট প্রার্থনা করছি (১) এমন বিদ্যা যা উপকারে আসে না (২) এমন হৃদয় যা আল্লাহ্কে ভয় করে না (৩) এমন প্রকৃতি যা সন্তুষ্ট হয় না। (৪) এমন দোয়া যা কবুল হয় না।

২৫. হযরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, রাসূল (সাঃ) বলেছেন, প্রত্যেক রাত্রেই যখন তার শেষ তৃতীয়াংশ বাকী থেকে যায় তখন আমাদের সৃষ্টিকর্তা (আল্লাহ্ তায়ালা বান্দাদের অতি নিকটবর্তী হন, এমনকি জমিনের) সর্বাধিক নিকটস্থ আসমানে তার অবতরণ তথা বিশেষ তাজাল্লী হয় (যা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে অন্য কোন সময় হয় না) স্বয়ং তিনি বান্দাদের ডাকতে থাকেন এবং এই আহব্বান ঘোষণা করেন, “কে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দেবো। কে আমার নিকট প্রার্থী হবে? আমি তাকে দান করব। কে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।”

২৬. হযরত রাসূল (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, কোন প্রার্থনা সত্বর কবুল হয়? – তিনি বললেন, “শেষ রাত্রির এবং ফরজ নামাজের পরের প্রার্থনা।”

২৭. হযরত আবু হোরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিত আছে, হযরত রাসূল (সঃ) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া কখনও ব্যর্থ হয় না। (১) রোজাদার (২) ন্যায়পরায়ণ বাদশাহ (৩) উৎপীড়িত ব্যক্তি। এদের দোয়া মেঘমালা ভেদ করে আল্লাহ্ তায়ালার দরবারে পৌঁছে যায়। তাদের জন্য আসমানের স্তরসমূহ সর্বদা উন্মুক্ত রাখা হয় এবং আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, হে আমার বান্দা! আমি অবশ্যই তোমাকে সাহায্য করব। হয়তো তোমার কোন মঙ্গল বিবেচনা করে তাতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে।

২৮. মুসলমানদের মধ্যে যদি কোনো ব্যক্তি কোনো ইয়াতীমকে লালন-পালন করার জন্য নিজের বাড়ীতে নিয়ে যায় এবং যদি সে ক্ষমার অযোগ্য কোনো গুনাহ না করে থাকে, তবে আল্লাহ্ তাকে বেহেস্তে প্রবেশ করাবেন।

২৯. আল্লাহ্র কাছে সেই ব্যক্তিই উৎকৃষ্ট, যে তার পরিজনের প্রতি দয়ালু ও সদাশয়।

৩০. পাঁচটি জিনিস পূন্যজনক অল্প আহার, মসজিদে অবস্থান, কাবা শরীফ, কোরআন শরীফ এবং আলেম বা জ্ঞানীর মুখদর্শন।

৩১. হযরত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, তোমরা বিবাহ কর, কিন্তু তালাক দিও না। কেননা যে পুরুষ বা স্ত্রীলোক অনেক স্থানে স্বাদ গ্রহণ করে তাকে আল্লাহ্ পছন্দ করেন না।

৩২. বিবাহ কর, কিন্তু তালাক দিও না, কেননা তালাক দিলে আল্লাহ্র আরশ কম্পিত হয়।

৩৩. যে স্ত্রীলোক একান্ত জরুরাত ব্যতীত নিজে ইচ্ছা করে স্বামীর নিকট তালাক চাইবে, তার জন্য বেহেস্ত হারাম।

৩৪. হালাল হওয়া সত্ত্বেও যা আল্লাহ্ তায়ালার নিকট সর্বাপেক্ষা অপ্রিয় তা হল তালাক বা বিচ্ছেদ।

৩৫. মুমীনদের মধ্যে পূর্ণ মুমীন সেই ব্যক্তি যার স্বভাব চরিত্র তোমাদের মধ্যে উত্তম, আর তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম, যে তার স্ত্রীর সঙ্গে উত্তম ব্যবহার করে।

৩৬. হযরত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে স্ত্রীলোকের মৃত্যুকালে তার স্বামী তার প্রতি সন্তুষ্ট থাকে, মৃত্যুর পর সেই স্ত্রীলোক বেহেস্তে প্রবেশ করবে।”

৩৭. হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন- অশিক্ষিত আবেদের উপর শিক্ষিত ব্যক্তির শ্রেষ্ঠত্ব আমার উম্মতের উপর আমার শ্রেষ্ঠত্বের মতো।

৩৮. বিদ্যা অন্বেষণ করা প্রত্যেক মুসলমান নরনারীর প্রতি ফরজ। মূর্খকে বিদ্যাদান করাকে মণিমুক্তা ও স্বর্ণহার দ্বারা সজ্জিত করার সমতুল্য।

৩৯. খোদার কাছে সর্বপ্রথম অপরাধী হল ইবলীস। তার অপরাধের মুলে তকদীরের পরেই সক্রিয় হয়েছে রিপু। তা হল তার অহংকার ও মাৎসর্য। আশি হাজার বছর ইবাদতের পর সে এ অপরাধে প্রবৃত্ত হল আর এর ফলে খোদার সাথে তার সম্পর্ক চিরতরে ছিন্ন হয়ে গেল।

৪০. সত্যবাদী আমানতদার ব্যবসায়ী কেয়ামত দিবসে নবীগণ, ছিদ্দিক্গণ ও শহীদগণের সাথে একত্রে থাকবে।

৪১. “দুটি জিনিস অবশ্যই ঘটবে।” এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, ‘ইয়া রসূলুল্লাহ (সাঃ)! সেই দুটি জিনিস কি?  তিনি বললেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহ্র সঙ্গে অন্য কাউকেও শরীক করে মারা গিয়েছে, সে অবশ্য দোজখে যাবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহ্কে এক, অদ্বিতীয় জেনে মারা গেছে, সে অবশ্যই বেহেশ্তে যাবে।”

৪২. যারা ক্রোধের সময় ধৈর্ষধারণ করে এবং কেউ অন্যায় করলে ক্ষমা করে, আল্লাহ্ তাদের অপরাধ মার্জনা করেন, তাদের শত্রুদের দমন করেন এবং তিনি তাদের অন্তরঙ্গ বন্ধু হন।

৪৩. পাঁচটি বিষয়ের উপর কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছে হালাল, হারাম, নিশ্চিত বিষয় রূপক বিষয় এবং উপমা। হালালকে হালাল জানো, হারামকে হারাম জানো, নিশ্চিত বিষয় অনুসারে কার্য করো, রূপক বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন কর এবং উপমা সমূহ থেকে উপদেশ গ্রহণ কর।

৪৪. আল্লাহর উদ্দেশ্যে বন্ধুত্ব করা ও আল্লাহ্র উদ্দেশ্যেই শত্রুতা করা সকল কাজের সেরা কাজ।

৪৫. হযরত (সাঃ) কে জিজ্ঞাসিত হয়েছিলেন, ‘আল্লাহ্ তায়ালার নিকট কোন ব্যক্তি উত্তম?’ উত্তরে বলেছিলেন, “ঐ সমস্ত পুরুষ ও স্ত্রীলোক যারা বেশি করে আল্লাহ্র জিক্র করে।” আরও জিজ্ঞাসা করা হল যে, আল্লাহ্ তায়ালার রাস্তায় তরবারী চালায় ও তরবারীখানি ভেঙে যায় এবং রক্তে রঞ্জিত হয়, তবুও আল্লাহ্র জিক্রকারী তা থেকে উত্তম হবে।”

৪৬. হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আল্লাহ তায়ালার তরফ থেকে নিযুক্ত এক দল ফেরেশতা আছেন, যারা আল্লার জিক্রে মশগুল লোকদের তালাশে ঘুরে বেড়াতে থাকেন। কোথাও আল্লার জিক্রে মশগুল লোকেদের দেখতে পেলেই তারা পরস্পর ডাকাডাকি করে সেখানে একত্রিত হন এবং ঐ লোকেদের বেষ্টিত করে ফেলেন। ঐ ফেরেশতাদের প্রতিটি দলেই তাদের সংখ্যা এত বেশি যে, ঐ লোকেদের ঘিরে একত্রিত হওয়া কালে তাদের সংখ্যা জমিন থেকে আসমান পর্যন্ত পৌছে যায়।

৪৭. দোয়া ব্যতীত অদৃষ্টের পরিবর্তন হয় না এবং পিতা-মাতার প্রতি ভক্তি প্রদর্শন ব্যতিত দীর্ঘায়ু লাভ হয় না। নিশ্চয় মানুষ তার গুণাহের জন্য জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয়।

৪৮. হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছেন: “আল্লাহর শপথ! আমি একদিনে সত্তরবারেরও অধিক তওবা করি এবং আল্লাহ্র নিকট গোনাহ্ মাফ চাই।”

৪৯. হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রাদিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: মহান ও পরাক্রমশালী আল্লাহ্ মৃত্যুর লক্ষণ প্রকাশের পূর্ব পর্যন্ত বান্দার তওবা আল্লাহ্ কবুল করবেন।

৫০. শয়তান বলে-হে প্রভূ! তোমার ইজ্জতের কসম, যে পর্যন্ত তোমার বান্দাদের দেহে আত্মা থাকবে, সে পর্যন্ত আমি তাদের কুপথে পরিচালনা করা থেকে বিরত থাকব না। আল্লাহ্ বলেন, আমার সম্মান, মহিমা ও উচ্চ আসনের কসম, যতবার তারা আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, ততবারই আমি তাদের ক্ষমা করব।

৫১. যে ব্যক্তি জ্ঞান অন্বেষণের উদ্দেশ্যে গৃহ থেকে বের হয়, তার অতীত জীবনের গুনাহরাশি মার্জনা করা হয়।

৫২. সন্তানকে ইলম ও আদব শিক্ষা দেওয়া যা ভিক্ষুককে এক বস্তা আটা দান করা আপেক্ষা উত্তম।

৫৩. রাত্রিকালে একঘন্টা জ্ঞান অনুশীলন করা সারা রাত্রি জেগে এবাদত করা অপেক্ষা উত্তম।

৫৪. হযরত আবু সাঈদ ও আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেন: মুমিন বান্দার ও কোনো ক্লান্তি, রোগ, দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ ও অস্থিরতা হোক না কেন, এমন কি কোনো কাঁটা বিধলেও তার কারণে আল্লাহ্ তার গোনাহ্ মাফ করে দেন।

৫৫. হযরত সাহল ইবনে সায়াদ (রা:) থেকে বর্ণিত। হযরত রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামা বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার কথা মত দুটি বস্তুকে সংযত রাখার দায়িত্ব পালন করবে আমি তার জন্য বেহেশত লাভের দায়িত্ব গ্রহণ করব। (১) উভয় চোয়ালের মধ্যবর্তী বস্তু (অর্থাৎ জবান, জবানকে সংযত রাখতে হবে, খাওয়ার ব্যাপারে ও কথার ব্যাপারে

(২) উভয় রানের মধ্যবর্তী বস্তু (অর্থাৎ জননেন্দ্রিয়কে সংযত রাখতে হবে ব্যভিচার হতে) ।